ঢাকা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:৪৬ pm

ওরা কেন আসেনি

| ২১ মাঘ ১৪২২ | Wednesday, February 3, 2016

ওরা কেন আসেনি

পৃথিবীর সেই মানবিক পথ

কখনো মানুষ অদ্ভুত সব ভাবনার ঘোরে পড়ে যায়। কেমনভাবে যেন জীবনের গভীর অনুভবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তখন অতীত ভবিষ্যৎ আর বর্তমানটা সেলুলয়েডের ফিতার মতো আগুপিছু হতে থাকে। কখনো কখনো আমিও ভাসতে থাকি সময় নদীর ভেতর দিয়ে। সেই কিশোরবেলায় একাকি দাঁড়িয়ে বহমান নদীকে দেখতাম আর দিগন্তের পাড় থেকে শীতলক্ষ্যা ছাড়িয়ে মেঘনার উচ্ছ্বাস ভেসে আসতো পৌরণিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে থাকা এক জগৎ। কখনও কখনও দাঁড়িয়ে এত ঘোরের মধ্যে ডুবে যেতাম, মনে হতো এই নদী দিয়ে কিছু দূর গেলেই ধলেশ্বরী আর বুড়িগঙ্গার মিলনস্থল। আরও গেলে মেঘনা, মাঝে মধ্যেই প্যারাবন। রোদে ঝিকিমিক এক পৃথিবী। এরপরই বঙ্গোপসাগর। আর সাগর থেকে সাগরে, বাধাহীন এক জগৎ।
এই বাধাহীন জগতে কেটেছে জীবনের অনেকটা সময়। সেরকম সময়ের এক বিকেল। নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল। স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে কয়েক কিশোর। প্রথমে স্কুলের গেট, তারপর সেবা প্রকাশনীর বই দিয়ে সাজানো দোকানের সামনে থমকে দাঁড়ানো। তারপর শতবছরের প্রাচীন রেল স্টেশন শতবছরের পুরনো চায়ের বিজ্ঞাপনের চত্বর পার হয়ে লঞ্চঘাট, বন্দর ও পাঁচ নম্বর ঘাটের মাঝামাঝি। শীতলক্ষ্যা নদীর জল তখনও স্বচ্ছ। জল ঠেলে একটা ছোট লঞ্চ এসে ভিড়তো। লঞ্চটি আসতো প্রতিদিন। লোকে বলতো মেরিনের লঞ্চ। যে জায়গা থেকে আসতো তার নাম মেরিন ডিজেল।
পরবর্তী সময়ে তা হয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বা বিআইএমটি। সেটা ছিল সবুজেঘেরা এক মায়াবী পৃথিবী। এই লঞ্চে শুধু আমরা কয়েকজন বাড়ি ফিরতাম। বিকেল পাঁচটার মধ্যেই ফিরতে হতো। লঞ্চের কেবিন ছিল। তারপরও ছাদে উঠে বসতাম। মৃদু বাতাসে সময়টা অদ্ভুত লাগতো। দুপুর শেষ হয়ে আসা এক বিকেল। হালকা রোদের পৃথিবী। সাথে থাকতো সবাই মিলে কেনা গরম সিঙ্গাড়া।
নদীর দুপাশে মায়া দিয়ে ঘেরা জুটমিল, বাংলো ধরনের বাড়ি। আর কখনও জেলে আর বেদে নৌকার সারি। বাঁশের ভেলায় চড়ে আগন্তুকদের কোথায় যেন মিলিয়ে যেতে দেখতাম। মনের মধ্যে থাকতো দুরন্ত কৈশোরের কোথাও হারিয়ে যাওয়ার ঘোর। প্রবল বিতৃষ্ণা নিয়ে স্কুলে গেলেও আসাটা ছিল স্বপ্নের। নক্ষত্রে যাওয়ার হাতছানি। অথবা মেঘনা হয়ে বঙ্গোপসাগরের কোনো দ্বীপে।
এখনও সেই ঘোর কাটেনি, কখনও মেঘনার বিশালতায়, কখনও যমুনার স্রোতে মিশে গিয়ে খুঁজে চলেছি অবিরাম সংগ্রামরত এক মানবপ্রবাহ, পৃথিবীর সেই মানবিক পথ।

সূচিপত্র:
গ্যালাকটিক নির্জনতায় তিমি
আত্মধ্বংসের বোঝা নিয়ে এই ছুটে চলা
সায়েন্স ফিকশন : দ্বিতীয় সহস্রাব্দের অর্জন
মানুষের ক্রমিক স্থানচ্যুতি
প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানকে এ সমাজ উপলব্ধি করতে শেখেনি
উয়ারি-বটেশ্বর থেকে রোম : এক স্বাপ্নিক পুরুষের পথানুসন্ধান
টাইপ ওয়ান সভ্যতার পথে পৃথিবী!
গ্যালাকটিক আলোয় আমরা
বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন যিনি
নাক্ষত্রিক সভ্যতা কেন আসেনি
পরিশিষ্ট

প্রকাশক: তাম্রলিপি
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০১৬
প্রচ্ছদ: যোয়েল কর্মকার
কম্পোজ ও গ্রাফিক্স: ডিসকাশন প্রজেক্ট
মূল্য : ৪০০ টাকা